Basmah School &
Cultural Center

About Us

বাসমাহ স্কুল অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার এর উদ্দেশ্য ?

Basmah School & Cultural Center একটি আধুনিক, জাতীয় পাঠ্যক্রম যা প্রি-স্কুল এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে। স্কুলটি তার শিক্ষার্থীদের প্রতিভা লালন করার জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং একাডেমিক কাউন্সেলরদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক (Ieyc & Ipc) ও আমেরিকান মানের শিক্ষা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।

Basmah School & Cultural Center-এ, আমরা প্রত্যেক শিশুকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় বেড়ে উঠতে সাহায্য করি । স্বতন্ত্রতা এবং সৃজনশীলতা অন্বেষণ করার জন্য শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে । আমাদের প্রাক-বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয় শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষা নয় বরং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকার জন্য উৎসাহিত করে, যাতে তারা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত  করতে পারে ।

আমাদের ভিশন

আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে আদর্শিক প্রজন্ম গড়ার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে যাওয়াই বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টারের উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও কর্মীরা।

 

আমাদের লক্ষ্য

‘আমাদের শুরুর কথা ‘
স্কুলটি বাসমাহ কর্তৃক সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত, বাসমাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বাসমাহ সিইও আমেরিকান প্রবাসি মুহতারাম জনাব মীর হোসাইন স্যার শিশুদের জন্য শিশু বান্ধব শিক্ষা ব্যবস্হা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উনার দীর্ঘ ২০ বছরের গবেষণার মাধ্যমে ইমপ্লিমেন্ট করে আধুনিক এবং এই শতাব্দীর জন্য উপযোগী শিক্ষার বিপ্লব গঠাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, আমরা উনার নেতৃত্ব আমাদের স্লোগান Brighten a Life Change the world অর্থাৎ জীবন আলোকিত করো বদলে দাও পৃথিবী…  আমরা একটি দক্ষতাভিত্তিক কারিকুলামকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি, যা প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক পাঠদানের পদ্ধতি থেকে আলাদা। আমরা মনে করি, বিবর্তিত বিশ্বের চাহিদা মেটাতে দক্ষতানির্ভর শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক নির্দেশাবলি ও কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে গতানুগতিক চিন্তাভাবনা, বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতের চেষ্টা করে থাকি। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা শুধু একাডেমিক দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। চরিত্রের বিকাশে তাই আমাদের সমন্বিত পাঠ্যক্রম সহানুভূতি, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মতো মূল্যবোধকে উন্নীত করতে নিশ্চিত করে।’

আমাদের রূপরেখা

প্রতিটি শিশুই একেকটি ফুল।প্রতিটি ফুলই স্বতন্ত্র। তাকে স্বমহিমায় ভাস্বর হতে দাও। তাকে তাঁর মত হয়ে পূর্ণ প্রস্ফুটিত হতে সাহায্য করো।

শিশুরা অল্পতেই আনন্দিত হয়। অপার বিস্ময়বোধ, সীমাহীন কৌতূহল, প্রাণচাঞ্চল্য ও উদ্যম, কারো না কারো মতো হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে বেড়ে ওঠা- এসবই শিশুর সহজাত বৈশিষ্ট্য। ওদের এই বৈশিষ্ট্য বা গুণের ওপর ভিত্তি করেই গ্রহণ করা হয়েছে বাসমাহ স্কুলের শিশুশিক্ষা কার্যক্রম। শিশুর অবিরাম জিজ্ঞাসা, কল্পনা এবং চিন্তাশক্তির প্রতি গভীর মনোযোগ রেখেই সাজানো হয়েছে শিশুশিক্ষা কার্যক্রম পরিকল্পনার প্রতিটি ধাপ। শিক্ষাদর্শনের দিক থেকে অত্যন্ত জরুরি হলো শিশুর মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্বের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া। কিন্তু শিশু যে মর্যাদা পাবার অধিকার রাখে, বয়োজ্যেষ্ঠরা তা প্রায়ই মনে রাখেন না। আমাদের কর্ম-পরিকল্পনায় সব সময় শিশুদের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের শুরু, গড়ে ওঠা, এগিয়ে চলা- সবই সম্ভব হয়েছে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে শিশুশিক্ষা নিয়ে কাজ করতে করতে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠা, শিক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ,  শিশুবান্ধব এবং মানবতার বন্ধু মীর হোসাইন স্যারের হাত ধরে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হয় ট্রাস্টি বোর্ড,  প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরিষদ, শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ এই ৩টি পরিষদের প্রত্যক্ষ সংযোগে। শুধু চালিকাশক্তিই নয়, এই ৩টি পরিষদ বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার শিক্ষাদর্শনকে ধারণ ও লালন করে বলেই বাসমাহ স্কুল  আজকের এই বিশ্বমানের শিশুবান্ধব শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখতে পেরেছে।

বাসমাহ স্কুলএর শিশুশিক্ষার দর্শন

. বাসমাহ স্কুল  মানে শিশুর অভয়ারণ্য

প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল দেখানোর প্রতিযোগিতার চেয়ে ভালো শিক্ষার্থী হবার প্রবণতা তৈরির লক্ষ্যে বাসমাহ স্কুল -এর যাত্রা শুরু। শিশুশিক্ষা গুরুমুখী বিদ্যা হতে পারে না। শিশুর নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করার সুযোগ থাকতে হবে তার বিদ্যালয়ে। গুরুমুখী শিক্ষায় প্রশ্ন করার পরিসর সীমিত। বাসমাহ স্কুলে  শিক্ষকদের বলা হয় ব্রাদার/সিস্টার । বাসমাহ স্কুল শিশুদেরকে ‘শেখানো’-তে বিশ্বাসী নয়, বরং শিশুর শেখার ক্ষমতার যত্নে বিশ্বাসী। শিশুরা শেখে তাদের সহজাত স্বভাবে নানা উপকরণের সাহায্যে, খেলার ছলে  ও গল্প বলার মধ্যে এবং দৃষ্টান্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে। আমাদের শিক্ষকরা শেখার পরিবেশ তৈরি করেন। বিদ্যালয়ে পাঠের গতানুগতিক চাপ না থাকায় শিশুরা শেখে নির্ভয়ে, আনন্দের সঙ্গে। নির্ভয়ে শিক্ষককে শিশু যেকোনো প্রশ্ন করতে পারে, তার নিজের মতো করে বিষয়টি বুঝে নেবার জন্যে। এই প্রক্রিয়ায় শিশুদের নানা রকম প্রশ্নে শিক্ষক মাঝেমধ্যে বিব্রত হলেও ধীরে ধীরে শিশুদের প্রিয় হয়ে ওঠেন। মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার প্রতিও যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেখার ও প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার জন্যে শিশুদের নিয়মিত বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুর সহজাত কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বজায় রাখতে বাসমাহ স্কুল প্রতিটি শিশুর ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয়তাকে সম্মান করে। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, পারিবারিক সংস্কৃতি ও আঞ্চলিকতা, মেধা এমনকি কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতার জন্য শিশুদের মধ্যে কোনো রকম বিভাজন বা বিভেদ সৃষ্টি করা হয় না। শিশুশিক্ষায় চাপিয়ে দেওয়া প্রচলিত নিয়মগুলো সাধারণত শিশুশিক্ষার পরিবেশে এক ধরনের আবদ্ধতা সৃষ্টি করে। বাসমাহ স্কুল চায় সামাজিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাতে যাতে শিশুরা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থেকেও নিজেদের মতো করে চলায় আরাম খুঁজে পায়, নিজেদেরকে মুক্ত মনে করে।

. বাসমাহ স্কুল মানে বাড়ির কাজের আনন্দ

বাসমাহ স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিত গতানুগতিক কোনো বাড়ির কাজ নেই। শিশু নিজে করতে পারবে এরকম প্রকল্প ধরনের উদ্ভাবনীমূলক কিছু কাজ থাকে বাড়িতে করার জন্যে। তৃতীয় শ্রেণি থেকে শিশুর নিয়মিত বাড়ির কাজ থাকে। এ সময় থেকে বাড়ির কাজ শিশুদের জন্যে বিশেষ জরুরি, কেননা বাড়ির কাজের মধ্য দিয়ে শিশুর পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে এবং স্বকীয়তার বিকাশ ঘটে। শিশু তার বাড়ির কাজ নিজেই করবে। বাড়ির কাজ মানসম্পন্ন না হলেও শিশুর তিরস্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শেখানোর নিজ পদ্ধতি বা মতামত শিশুদের ওপর চাপিয়ে না দেওয়ার জন্যে অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রয়োজন যাতে করে শিশুর ওপর দ্বৈত ধারার শিক্ষার প্রভাব না পড়ে এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয়। শিশু তার বাড়ির কাজ যথাসময়ে করছে কি না অভিভাবকরা অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখবেন ও উৎসাহ দেবেন। বিদ্যালয় থেকে দেওয়া প্রকল্পভিত্তিক কাজের উপকরণ অভিভাবক যথাসময়ে সরবরাহ করবেন।

. বাসমাহ স্কুল মানে গৃহশিক্ষক নির্ভরতা কাটানো

শিশুর জন্য কোনো গৃহশিক্ষক থাকবে না। কোনো অভিভাবক বা আত্মীয়জনও শিশুর গৃহশিক্ষকের ভূমিকায় অংশ নেবেন না। কোনো শিশুর গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন হলে বিদ্যালয় ও অভিভাবক আলোচনা করে ঠিক করবেন। বিদ্যালয়কে না জানিয়ে গৃহশিক্ষক রেখে শিশুকে লেখা-পড়ায় সাহায্য করার রীতিকে বাসমাহস্কুল  নীতিগতভাবে সমর্থন করে না- যা আসলে শিশুর বিকাশকেই বাধা দেবে বলে বাসমাহ স্কুল বিশ্বাস করে।

. বাসমাহ স্কুল মানে মেধাবিকাশবান্ধব পরীক্ষাপদ্ধতি মূল্যায়ন

নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত শিশুর কাজ কেবল গ্রহণ ও ধারণ করা। নিত্যদিনের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নিরন্তর গ্রহণ-প্রক্রিয়ার মধ্যে বেড়ে ওঠে শিশু। যা কিছু শিখবে ও জানবে, তা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে পারা এক ধরনের দক্ষতা। পরীক্ষা এক ধরনের উপস্থাপনা যার উপযুক্ত বয়স আরও পরে। প্রচলিত পদ্ধতির মূল্যায়ন অবৈজ্ঞানিক ও শিশুর বিকাশের পথে বাধাস্বরূপ, কারণ প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর গ্রহণ ও ধারণ করার ক্ষমতা যাচাই হয় না। যে কারণে বাসমাহ স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পদ্ধতির কোনো পরীক্ষা নেই কিন্তু বাসমাহ স্কুলে নিজস্ব মূল্যায়ন পদ্ধতি আছে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে প্রচলিত নিয়মে পরীক্ষা শুরু হলেও বাসমাহ স্কুলের নিজস্ব পদ্ধতির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলমান থাকে। অর্থাৎ আমরা বছরে দুইটি মূল্যায়ন বা এসেসমেন্ট নিয়ে থাকবো সেটি নিয়মিত ক্লাসের মাঝেই তারা দিয়ে থাকবে, যাতে শিশুদের পরীক্ষা নিয়ে ভয় বা সংশয় তৈরি না হয়।

. বাসমাহ স্কুল মানে শিশুর সামূহিক বিকাশে বাড়ির সংযোগ

শিশুর সামূহিক বিকাশের জন্য একটি প্রকৃত মানসম্পন্ন বিদ্যালয় যতটা জরুরি, বাড়িতে মা-বাবা ও অন্যান্য সদস্যদের ভূমিকাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বাড়ি ও বিদ্যালয় শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক নয়, দুটোই পৃথকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে মা ও বাবা দুজনেই শিশুর বেড়ে ওঠায় পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে অথবা যৌথভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। মা-বাবা হওয়ার জন্যে কোনো মানুষের প্রশিক্ষণ বা শিক্ষার প্রয়োজন হয় না কিন্তু শিশুর অভিভাবক হয়ে উঠতে হয় কিছু বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে।

. বাসমাহ স্কুল মানে শিশুর মনরাঙানো পোশাক

রুচিশীল পোশাক শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়তা করে, আত্মবিশ্বাসী হতে ভূমিকা রাখে। বাসমাহ স্কুল-এ বিভিন্ন বয়সের শিশুর জন্য নির্দিষ্ট রঙের পোশাক নির্ধারণ করা আছে। উজ্জ্বল রঙের পোশাক, যার ধরনও খুব সাধারণ। খেলাধুলা, রান্নার ক্লাস, জলরং বা মাটির কাজ ও বিজ্ঞানাগারের কাজের জন্য আলাদা আলাদা পোশাক বা অ্যাপ্রনের ব্যবস্থা আছে।

. বাসমাহ স্কুল মানে এক হয়ে চলার বিভেদহীন বন্ধন

শিশুদের বাড়ী থেকে টিফিন বা স্নাক্স বক্স  আনতে হয়।  সকলে একসঙ্গে বসে দেশীয় ও ঋতুভিত্তিক খাবার খাওয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক দিক থেকে বিভেদহীন সম্পর্ক তৈরি হয়।

একুশ শতকের অমিত সম্ভাবনাময় এই উন্মুক্ত  বিশ্বে শিশুবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি প্রথাগত কিংবা গতানুগতিক মুখস্তবিদ্যানির্ভর শিক্ষাপদ্ধতির বদলে আপনার শিশুর জন্য, দেশের জন্য, কিংবা বুকভরা গর্ব নিয়ে বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা এক অসম্ভব সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে  বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার-এর এই শিক্ষাযাত্রায় আপনাদের স্বাগত।